মাল্টা গাছ বাংলাদেশের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। একসময় মাল্টা বিদেশি ফল হিসেবে পরিচিত ছিল, তবে বর্তমানে আমাদের দেশেই বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা গাছের চাষাবাদ হচ্ছে। সুস্বাদু স্বাদ, ভিটামিন সি এবং বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষকদের কাছে মাল্টা গাছ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
মাল্টা গাছের বৈশিষ্ট্য
-
মাল্টা গাছ একটি সাইট্রাস জাতীয় গাছ, দেখতে অনেকটা কমলার মতো।
-
এর উচ্চতা গড়ে ৬ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ত হয়।
-
চকচকে সবুজ পাতা ও গোলাকার ফল এই গাছকে সহজেই চেনায়।
-
মাল্টা গ্রীষ্ম ও শীত – দুই মৌসুমেই ফল দেয়।
মাল্টার পুষ্টিগুণ
-
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট – শরীরের টক্সিন দূর করে সুস্থ রাখে।
-
হজমে সহায়ক – মাল্টার রস সহজে হজম হয়।
-
ত্বকের যত্নে কার্যকর – ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখে।
মাল্টা গাছের উপকারিতা
-
অর্থনৈতিক সুবিধা: বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়, যা কৃষকের আয়ের নতুন উৎস।
-
চিকিৎসায় ব্যবহার: মাল্টার খোসা শুকিয়ে ভেষজ ওষুধ তৈরি করা যায়।
-
সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যে ভূমিকা: মাল্টা গাছের ফল ত্বক ও শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
মাল্টা গাছের চাষাবাদ
-
উঁচু ও রোদযুক্ত জমি মাল্টা গাছের চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত।
-
জমিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
-
সাধারণত চারা রোপণের ২–৩ বছরের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে।
-
সঠিক পরিচর্যা, সার ও সেচ দিলে প্রচুর ফলন পাওয়া যায়।
উপসংহার
মাল্টা গাছ শুধু একটি সুস্বাদু ফলের উৎস নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। সঠিক যত্নে মাল্টা গাছের চাষাবাদ কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই সুস্বাস্থ্য ও কৃষি অর্থনীতির জন্য এখনই আমাদের বেশি করে মাল্টা গাছ লাগানো উচিত।
0 Comments