আকাশমনি গাছ আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির জন্য এই গাছগুলো রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
ওই প্রজাতির গাছের চারা রোপণের পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।আকাশমনি গাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Acacia auriculiformis এক ধরনের দ্রুতবর্ধনশীল কাঠজাতীয় গাছ। এটি মূলত **অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি ও ইন্দোনেশিয়া** থেকে আগত হলেও বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে এখন চাষ করা হয়।
আকাশমনি গাছের বৈশিষ্ট্য:
1পাতা লম্বাটে ও চ্যাপ্টা ধরনের।
2 গাছ সাধারণত ২০-৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
3 শাখা-প্রশাখা ঘন এবং গাছ দেখতে ঝোপালো।
4 ফুল হলুদ রঙের ও গুচ্ছ আকারে ফোটে।
5কাঠ শক্ত ও টেকসই, রঙ লালচে-বাদামি।
1 ব্যবহার:
1. কাঠ আসবাবপত্র, দরজা, জানালা, পাটকাঠি, জ্বালানি কাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
2. মাটি সংরক্ষণে মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং মাটিতে জৈব পদার্থ বৃদ্ধি করে।
3. জ্বালানি এর কাঠ চমৎকার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।
4. পাল্প অ্যান্ড পেপার ইন্ডাস্ট্রি কাগজ তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত।
5. পরিবেশ রক্ষা দ্রুতবর্ধনশীল হওয়ায় গাছটি সবুজায়নে বড় ভূমিকা রাখে।
2 চাষ পদ্ধতি:
1 আকাশমনি গাছ যেকোনো ধরনের মাটিতে জন্মাতে পারে, তবে বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়।
2 বীজ থেকে চারা তৈরি করা হয়।
3 বর্ষাকালে রোপণ সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
4 কম যত্নেই দ্রুত বৃদ্ধি পায়।


0 Comments